নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরুর উপর সন্ত্রাসী হামলার ১০ বছর পাড় হয়ে গেলেও অনেক রয়েছে পুলিশের ধরা ছোয়ার বাইরে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা এখনো বুক ফুলিয়ে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। করছে নানা ধরনের অপর্কম। এমনটি বলেছেন স্থাণীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, ২০০৯ সালের এই দিনে ফতুল্লার পাগলা এলাকার সশস্ত্র সন্ত্রাসী সজল বাবুচী, আবু সালাম, কিলার মনির, কিলার আক্তার ও জাকির হোসেন এসপি কুতুবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মীর হোসেন মীরুকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে মারাত্বক জখম করে। স্থাণীয় রাজনীতিবীদ, মুরুব্বী এবং তরুন যুবকদের দোয়াতে প্রানে বেচে গেলেও সৃষ্টি কর্তার দান মীর হোসেন মীরুর পা দুটো নষ্ট হয়ে যায়।
এদের মধ্যে সন্ত্রাসী সজল, আবু সালাম, ও কিলার মনির নিহত হয়েছেন। তবে দুঃখের বিষয় ঘটনার ১০ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও স্বেচ্ছাস্বেকলীগ নেতা মীর হোসেন মীরুর উপর হামলাকারী কিলার আক্তার ও জাকির হোসেন এসপি এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এবং দিচ্ছে তার পরিবারকে হুমকি। সে সাথে করে বেড়াচ্ছে নানা ধরনের অপকর্ম। তাই স্থাণীয়রা অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, পেশা হিসাবে ফুটবল কেই বেছে নিয়েছিলেন। রাজনীতি তার নেশা ছিল।শামীম ওসমানের মতো নেতার উপস্থিতি মিরুর রাজনীতি প্রতি বারতি অনুপ্রেনা যোগায়।
আওয়ামীলীগ যখন বিরোধী দলে ছিল তখন থেকে মিটিং মিছিলে নিজের সক্রিয় অংশগ্রহন তাকে দিন দিন জনপ্রিয় একজন নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে গড়ে তোলে।
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস খেলার মাঠ থেকে তাকে ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয়। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে থানায় নিয়ে নির্যাতন করে।২০০৮ সালে সে জেল থেকে মুক্তি পাবার কিছু দিন পরে নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে ফেলে রেখে যায় নিজ দলের কিছু নেতারা কারন ঐ সময় নিজ দলের লোকেদের মাধকের ব্যবসায় প্রধান বাধা ছিল মিরু।
সেই দিন পিস্তলের ভিতর থেকে গুলি একজন ফুটবলারে জীবনের সব সপ্ন ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে।তাকে বেছে নিতে হয়েছে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব।তাই আজ মীরুর উপর এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।